Skip to main content

Posts

Showing posts with the label ভাব-সম্প্রসারণ

জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান।

ভাব-সম্প্রসারণঃ জ্ঞানের মূল কাজ মানুষের মাঝে মূল্যবোধ সৃষ্টি করা। এর কল্যাণেই মানুষ সত্য ও অসত্যের মাঝে পার্থক্য অনুধাবনে সক্ষম হয়। তাই জ্ঞানহীন মানুষকে প্রকৃত মানুষ বলা যায় না। জ্ঞান মানুষের এক অনন্য মানবীয় গুণ। জ্ঞানই মানুষকে সৃষ্টির অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। জ্ঞানের বলেই মানুষ সবকিছুকে নিরীক্ষণ করতে পারে। ভালো-মন্দ ও ন্যায়-অন্যায় বিচারবোধের অধিকারী হতে পারে। প্রকৃত জ্ঞান বিবেকবোধের জাগরণ ঘটায়। মানুষকে সত্য, সুন্দর ও আলোকিত পথের নির্দেশ দেয়। জ্ঞানের আলোকে মানুষের জীবন বিকশিত হয়ে ওঠে। জ্ঞানের আলো যার অন্তরে পৌঁছায় না, তার মধ্যে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে না।  ভালো-মন্দের প্রভেদ বুঝতে পারে না বলে প্রায়ই সে কুপথে পরিচালিত হয়। জ্ঞানী ব্যক্তি কখনো খারাপ কাজে প্রবৃত্ত হতে পারে না। বিবেক তাকে খারাপ কাজ করতে বাধা দেয়। তাই মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। কিন্তু জ্ঞানহীন মানুষ পশুর মতোই নির্বোধ। সে ন্যায়-অন্যায় বোঝে না। তাই সে পশুসুলভ আচরণেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। জ্ঞানের বলেই মানুষ সকল প্রাণীর ওপর প্রভুত্ব করেছে। তাই জ্ঞান অর্জিত না হলে আধুনিক জীবনের সম্পূর্ণ স্...

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।

ভাব-সম্প্রসারণঃ লোভ মানুষকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে দেয়। অসৎ উপায় অবলম্বন করতে প্ররোচিত করে। লোভী মানুষ তাই পাপকার্য করতে দ্বিধাবোধ করে না। লোভের পরিণাম অতি ভয়াবহ, এমনকি মৃত্যুও বিচিত্র নয়। লোভ মানবচরিত্রের এক অন্ধকার দিক। লোভ থেকেই জাগতিক যাবতীয় পাপের উৎপত্তি। লোভের মায়ামোহে আচ্ছন্ন থেকে মানুষ সত্য ও সুন্দরকে অবজ্ঞা করে। সে বৈষয়িক বুদ্ধির প্রেরণায় পার্থিব ধন-সম্পদ আহরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু যখনই সে তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়, তখন নির্দ্বিধায় নিমজ্জিত হয় পাপাচারে। সে ক্রমশ অবৈধ ও জঘন্য পথে অগ্রসর হয়। তাই লোভী মানুষ একসময় হয়ে ওঠে পশুর মতো। সত্যের জয় আর অসত্যের বিনাশ অনিবার্য। লোভী মানুষ নিজের সেই পরিণতির কথা ভুলে যায়। আর এভাবেই লোভ মানুষকে ধ্বংসের পথে টেনে নেয়। ওপর পক্ষে নির্লোভ ব্যক্তি পাপমুক্ত, সত্য ও সুন্দর জীবন লাভ করে। তার জীবনে ভোগের তাড়না নেই। ফলে তার মাঝে লোভ এবং পাপের অস্তিত্ব নেই। লোভী ব্যক্তিরাই পথভ্রষ্ট হয়। অন্যায়, অসত্য আর পাপের পথে ধাবিত হয়ে অকালমৃত্যুর মুখোমুখি হয়। লোভ বর্জন না করলে জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করা যায় না। নির্লোভ মানুষ সকলের শ্রদ্ধাও ভক্তি অর্জন করে।

এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

এ জগতে হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি,  রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। ভাব-সম্প্রসারণঃ পৃথিবীতে সম্পদশালীর সম্পদের প্রতি তৃষ্ণা দুর্নিবার ও অসীম। চির-অতৃপ্ত এ তৃষ্ণাকে চরিতার্থ করার প্রয়াসে তারা অনাহারী ও নিরন্ন মানুষের সম্পদকেও কেড়ে নিতে কুণ্ঠিত হয় না। ধনীদের দুর্নিবার সম্পদ-ক্ষুধা কোনোদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। নিজেদের সম্পদের সংগ্রহকে বাড়িয়ে তোলাই যেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য। সমাজের দুর্বল অংশকে শোষণ করেই দিনের পর দিন তাদের ঐশ্বর্য স্ফীত হয়ে উঠতে থাকে। অন্যদিকে, বিশ্বের বিত্তহীনরা তাদের শোষণে সর্বস্বান্ত হয়ে সাজে পথের ভিক্ষুক। বিত্তবানের এই অতিরিক্ত বিত্ত সংগ্রহের প্রবণতার কারণে সমাজে অনিবার্য হয়ে ওঠে নানা অশান্তি, সংঘাত ও সংগ্রাম। পৃথিবীতে যারা পর্যাপ্ত সম্পদের মালিক, যাদের ধনৈশ্বর্য অফুরন্ত, তাদের সম্পদ-তৃষ্ণা কোনোদিনই পরিতৃপ্ত হয় না। তারা যত পায়, তত চায়। বিবেকহীন, হৃদয়হীন মানুষেরা নানাভাবে সামাজিক সম্পদ অপহরণ করে দিনের পর দিন নিজেদের তথাকথিত মর্যাদার আসন উঁচু করে চলে। অপরিসীম ধনতৃষ্ণা ক্রমাগ্রত স্ফীতকায় হতে হতে একদিন দরিদ্রের সর্বশেষ সম্বল ছিনিয়ে নিতেও কুণ্ঠিত হয় না। এভা...

একতাই বল। Unity is Strength.

একতাই বল। Unity is Strength. ভাব সম্প্রসারণঃ মানুষ সামাজিক জীব। পরিবারের প্রত্যেকে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এই পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে গড়ে উঠেছে মানবসমাজ; মানুষের একতাবোধ। তাই মানবজীবনের অস্তিত্বের সঙ্গে একতার গভীর সম্পর্ক। মানুষকে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জীবনযাপন করতে হয়। প্রতিকূল পরিবেশে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য মানুষের দরকার সংঘবদ্ধ শক্তির। একতাবদ্ধ জীবনে আছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। ঐক্যবদ্ধ জাতিকে কোনো শক্তিই পদানত করতে পারে না। একতার কল্যাণ প্রতিফলিত হয় ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনেও। একজনে যে কাজ করতে পারে, দশজনে তার বহুগুণ কাজ করা সম্ভব। এভাবে জাতি একতার গুণে বড় হয়। আজকের বিশ্বে যারা উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে জাতীয়  ঐক্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। যে জাতি  ঐক্যবদ্ধ নয়, সে জাতির উন্নতি অসম্ভব। ব্যক্তির ক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধবহীন নিঃসঙ্গ জীবন যেমন বিভ্রান্তিকর, তেমনি একতাহীন জাতির ধ্বংস অনিবার্য। ব্যক্তিজীবনের স্বার্থে, জাতীয় জীবনের কল্যাণে এবং মানবজাতির মঙ্গলের জন্যে মানুষের একতাবদ্ধ থাকা একান্তই অপরিহার্য।

বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর। অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর। অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। ভাব সম্প্রসারণঃ  মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান সমান। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মূলে রয়েছে নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে নারী এবং পুরুষের হাত ধরেই পৃথিবী সভ্যতার পথে এগিয়ে চলেছে। সভ্যতার এ অগ্রযাত্রায় নারী-পুরুষ উভয়ের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছে। এ বৈষম্যের অবসান হওয়া প্রয়োজন। নারী ও পুরুষ উভয়ই মানুষ। এ দুই সত্তার মাঝে যে কারও অধিকার খর্ব করা হলে তা হবে মানবাধিকার হরণ করার শামিল। নর ও নারী একে অপরের পরিপূরক সত্তা। মানুষ তার মেধা আর কায়িক পরিশ্রম দিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে বর্তমান সভ্যতার তিলোত্তমা মূর্তি। এ নির্মাণ অভিযাত্রায় নারী ও পুরুষ উভয়ই সমান অংশীদার। সভ্যতার বেদিমূলে পুরুষের পরিশ্রমের আর সংগ্রামের পদচিহ্ন খোদিত হলে সেখানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে সহাবস্থান করবে নারীর সেবা আর কর্তব্যনিষ্ঠাও। সভ্যতাকে সাজাতে-গোছাতে পুরুষ দিয়ে শক্তি ও শ্রম। আর তাতে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নারী। সব দেশের...

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই মূলভাবঃ মানুষে মানুষে অনেক ধরনের বিভেদ-বৈষম্য থাকতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে আমরা সবাই মানুষ।  সম্প্রসারিত ভাবঃ সব মানুষ একই সৃষ্টি এবং সব  সৃষ্টির মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠ। পৃথিবীর একই জল-হাওয়ায় আমরা বেড়ে উঠি। আমাদের সবার রক্তের রং লাল। তাই মানুষ একে অন্যের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ভৌগোলিকভাবে আমরা যেখানেই থাকি না কেন, অথবা আমরা যে যুগেরই মানুষ হই না কেন, আমাদের একটি পরিচয় আমরা মানুষ। কখনো কখনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমরা জাত-কুল-ধর্ম-বর্ণের পার্থক্য তৈরি করে মানুষকে দূরে ঠেলে দিই, এক দল আরেক দলকে ঘৃণা করি, পশ্চাতে ফেলতে চাই, পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হই। কিন্তু এগুলো আসলে সাময়িক। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, আমরা একে অন্যের পরম  সুহৃদ। আমাদের উচিত সবাইকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ রাখা। প্রত্যেককে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া এবং তার অধিকার সংরক্ষণে একনিষ্ঠ থাকা। মানুষের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনি-দরিদ্র, ব্রাহ্মণ-শূদ্র, আশরাফ-আতরাফ, হিদু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, কেন্দ্রবাসী-প্রান্তবাসী এমন ভাগাভাগি কখনোই কাম্য হতে পারে না। তাতে মা...

ইটের পরে ইট মধ্যে মানুষ কীট।

ইটের পরে ইট মধ্যে মানুষ কীট।  মূলভাবঃ সভ্যতার উন্নতি ও অগ্রগতি মানুষের জীবনকে সহজসাধ্য করলেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও স্বাচ্ছন্দ্য বিনষ্ট করেছে।  সম্প্রসারিত ভাবঃ নগর সভ্যতার বিকাশে মানুষ হারিয়েছে প্রকৃতির অপুরুপ সৌন্দর্য। মানুষের জীবনে এসেছে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা। আজ মানুষ জয় করেছে সাগর, মাটি, আকাশ এমনকি মহাশূন্যও। মানুষ প্রকৃতিকে ইচ্ছেমত ব্যবহার ও পরিবর্তন করে গড়ে তুলেছে সভ্যতা। এজন্য মানুষ পাহাড় কেটে করছে সমতল ভুমি, জলাভূমিকে করছে ভরাট, বন উজাড় করে গড়ছে বসত, নদীর গতিপথকে নিয়ন্ত্রণ করেছে বাঁধ দিয়ে।  কিন্তু প্রকৃতির সম্পদকে এমনভাবে ব্যবহার করায় মানুষ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে। জীব পরিবেশকে বিপন্ন করছে। দূষিত হচ্ছে বায়ু, মাটি, পানি। তবে সৌভাগ্যের কথা, মানুষ এই সংকট সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেছে। তাই প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্বের পথ গড়ে তুলছে আজ মানুষ বন ধ্বংসের পরিবর্তে বর্তমানে মানুষ বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করছে। মাটির কাছাকাছি জীবনে ফিরে যেতে আজ মানুষ ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। কেননা মাটি ও পরিবেশই মানুষের মানসিক প্রশান্তির আশ্রয়স্থল।  মন্তব্যঃ শহরের কৃত্রিমতা মানুষের স্বাভাবিক জীবনমান...

নানান দেশের নানান ভাষা, বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?

নানান দেশের নানান ভাষা  বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা?  মূলভাবঃ মাতৃভাষার মাধ্যমেই মানুষ  প্রকৃত রসাস্বাদন করতে পারে এবং এই ভাসায়ই তাদের প্রাণের স্ফূর্তি ঘটে। সম্প্রসারিত ভাবঃ পৃথিবীর প্রায় সব জাতিরই নিজস্ব ভাষা আছে এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষা আলাদা। আমরা ভাষার মাধ্যমে শুধু নিজের মনের ভাবই অন্যের কাছে প্রকাশ করি না, মাতৃভাষার সাহায্যে অন্যের মনের কথা, সাহিত্য-শিল্পের বক্তব্যও নিজের মধ্যে অনুভব করি। নিজের ভাসায় কিছু বোঝা যত সহজ, অন্য ভাসায় তা সম্ভব নয়। বিদেশে গেলে নিজের ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যায় আরও প্রখরভাবে। তখন নিজের ভাষাভাষী মানুষের জন্য ভেতরে ভেতরে মরুভূমির মতো তৃষিত হয়ে থাকে মানুষ। আমরা বাঙালী, বাংলা আমাদের ভাষা। বাংলা ভাসায় আমরা কথা বলি, পড়ালেখা করি, গান গাই, ছবি আঁকি সাহিত্য রচনা করি, হাসি-খেলি, আনন্দ-বেদনা প্রকাশ করি। অন্য ভাসায় তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এই ভাসায় সাহিত্য রচনা করে যশস্বী হয়েছেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত জীবনের শুরুতে অন্য ভাসায় সাহিত্য করে পরে আক্ষেপ করে...

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে  কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। মূলভাবঃ কাজই মানুষের পরিচয়কে ধারন করে। মুখে বড় বড় কথা না বলে কাজ করলে সভ্যতার বিকাশ সাধন হবে।  সম্প্রসারিত ভাবঃ আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা অনেক কথা বলতে ভালোবাসে কিন্তু কাজের সময় তারা ফাঁকি দেয়। উপরন্ত কাজ শেষে তারা অন্নের সমালোচনা করে। এসব মানুষ সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তারা সভ্যতার বিকাশে কোনো ভুমিকা রাখে না বরং এর অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিন্তু নিজে কাজ করলে এবং অন্যের কাজে সহায়তা করলে আমাদের দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। বিশ্বের সব দেশেই শ্রমকে, কর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। মহামানবদের জীবনই পাঠ করলে দেখা যায়, তাঁরা কর্ম ও নিষ্ঠা দিয়ে পৃথিবীতে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে রেখেছেন। যুগ যুগ ধরে তাঁরা সারা বিশ্বে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এখন থেকে চার দশকেরও অধিক সময় আগে নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও  এডউইন অলড্রিন-এই তিনজন মানুষ ঐকান্তিক সাধনা, নিরলস শ্রম ও কঠোর অধ্যাবসায়ের ফলে চাঁদে অবতরণ করে পেরেছিলেন। এই দুঃসাহসী কাজের জন্য তাঁরা আজও মানুষের কাছে বরণীয় হয়ে আছেন। এই কাজের মধ্য দিয়ে তাঁরা...

পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি, যতনে মানিয়ে চলো তাহাদের বাণী।

  পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি, যতনে মানিয়ে চলো তাহাদের বাণী। মূলভাবঃ বাবা, মা ও অভিভাবকবৃন্দ আমাদের জীবন গঠন ও পরিচালনার জন্য যেসব উপদেশ দেন, সেগুলো মেনে চলা কর্তব্য। সম্প্রসারিত ভাবঃ পিতা-মাতা আমাদের জীবন দান করেন এবং অনেক কষ্ট করে লালন পালন করেন। পিতা-মাতার সঙ্গে অন্য গুরুজনেরাও আমাদের সুস্থ জীবন বিকাশে সহায়তা করেন এবং অনেক কষ্ট স্বীকার করে আমাদের বড় করে তোলেন। এরা সবাই বয়সে, জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, প্রজ্ঞায় আমাদের থেকে অনেক বড়। তারা আমাদের স্নেহ করেন, ভালোবাসেন এবং সর্বদাই মঙ্গল কামনা করেন। অভিজ্ঞতার আলোকে তারা জানেন কি করলে আমাদের ভালো হবে। নবীনতা অনভিজ্ঞতার কারণে এই কঠিন ও জটিল পৃথিবীর অনেক কিছু আমাদের অজানা। সে জন্য পিতা-মাতা, গুরুজন ও বিশ্বের মহান ব্যক্তিদের উপদেশ চলার পথে আলোকবর্তিকা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আর তা না করতে পারলে জীবন সফলতা আসবে না। প্রতি মুহূর্তে আমরা হোঁচট খাব। আমরা জানি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বায়েজিদ বোস্তামী কিভাবে গুরুজনদের আদেশ-উপদেশ পালন করছেন। আর সে কারণেই তারা আজ সকালের শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হতে পেরেছেন। তাই পিতা-মাতা, গুরুজন আদর্শস্থানীয়, দেব...