Skip to main content

Posts

Showing posts with the label অনুচ্ছেদ রচনা

ইন্টারনেট

ইন্টারনেট শব্দটি ইন্টার নেটওয়ার্কের (Inter Network) সংক্ষিপ্ত রুপ। ইন্টারনেট হলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কম্পিউটার সমূহের মধ্যে একটি আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় প্রতিটি কম্পিউটার একটি সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি করে ঠিকানা থাকে। প্রযুক্তির ভাষায় এই ঠিকানাকে আই.পি. অ্যাড্রেস বা ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস বলে। এই আই.পি. অ্যাড্রেস ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি নেটওয়ার্ক (ARPANET) পরীক্ষামূলকভাবে কম্পিউটারের মাধ্যমে একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এ প্রক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তখন থেকেই ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীকালে ১৯৮৯ সালে সুইজারল্যান্ডের সার্নের (CERN) বিজ্ঞানীগণ তাঁদের নিজেদের মধ্যে ব্যবহারের জন্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) উদ্ভাবন করেন, যা ১৯৯১ সালে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।...

শ্রমের মূল্য

মানুষের সমস্ত সম্পদ এবং মানবসভ্যতার ভিত্তি রচনাকারী শক্তির নাম শ্রম। শ্রমের কল্যাণেই মানুষ নিজেকে জীবজগতের অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে আলাদা করেছে। মানবজীবনে সাফল্যের জন্য শ্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। শ্রমের মাধ্যমে সভ্যতা বিনির্মাণের পাশাপাশি মানুষ নিজের ভাগ্যকেও গড়ে নেয়। প্রতিটি মানুষের মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। পরিশ্রমের মাধ্যমেই কেবল সেই সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে রুপ লাভ করতে পারে। অন্যদিকে, পরিশ্রম না করলে সেগুলো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। শ্রমজীবী মানুষ তাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়। সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে যত্নবান হয়। শ্রমের মূল্য বোঝে বলে তারা সকল শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা নিজের জীবন ও চারপাশের পরিবেশকে সাজিয়ে তোলে। ফলে শ্রমশীল মানুষের জীবন হয় সার্থক। অপর পক্ষে শ্রমবিমুখ মানুষেরা আলস্যে সময় নষ্ট করে।  নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অপরের মুখাপেক্ষী হয়।  তাই সাফল্য তাদের ভাগ্যে ধরা দেয় না। সাধারণ মানুষের কাছেও তাদের কোনো মুল্য থাকে না। শ্রম মানুষকে সমৃদ্ধির পথে চালিত করার পাশাপাশি দেয় সৃজনের আনন্দ। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ...

সততা

সততা মানবচরিত্রের এক অনন্য গুণ। সততার ছোঁয়ায় মানবচরিত্র হয়ে ওঠে মহিমান্বিত। সত্যের শক্তিতে জাগ্রত ব্যক্তিই সব ক্ষেত্রে সততা প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে দিয়েই মানুষ অর্জন করে মনুষ্যত্ব। সততার অনুশীলনকারী ব্যক্তিকে সৎ বলা যায়। সৎ ব্যক্তিগণ সব ধরনের অন্যায় ও পাপাচার থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের দ্বারা কখনো কারও অনিষ্ট সাধিত হয় না। বরং তাঁরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে অন্যের উপকার সাধন করেন। সৎ ব্যক্তি কথায় ও কাজে নিষ্ঠাবান হন। তাই সবাই তাঁর ওপর আস্থা রাখে; তাঁকে শ্রদ্ধা করে অন্তর থেকে।  অন্যদিকে, সততা থেকে বিচ্যুত ব্যক্তি সমাজের কলঙ্কস্বরূপ। তার দ্বারা অনেকের ক্ষতি সাধিত হয়। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সে নানারকমের অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে দ্বিধা করে না। এ ধরনের ব্যক্তি সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে ঘৃণিত। তাকে কেউ কোনো কিছুতে বিশ্বাস করে না। সৎ ব্যক্তির সততার নিদর্শন সবাইকে ভালো কাজে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে, অসৎ ব্যক্তির সাময়িক মোক্ষলাভ দুর্বল চিত্তের মানুষদের পাপাচারে লিপ্ত হতে উদ্বুদ্ধ করে।  তাই বলা যায়, সততাই মানবজীবনের চিরমুক্তি ও কল্যাণের পথ। সকল ধর্মেই সততাকে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হিসেবে উল্ল...

অলিম্পিক গেমস

অলিম্পিক গেমস হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসর। চার বছর পরপর এটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর দুটি প্রধান প্রকরণ গ্রীষ্ম ও শীতকালীন প্রতিযোগিতা, যা আয়োজিত হয় দুই বছর পরপর। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতি দুই বছরে একবার অলিম্পিকের আসর বসে। প্রতিবন্ধীদের জন্য প্যারা অলিম্পিক এবং তরুণদের জন্য যুব অলিম্পিকও আয়োজিত হয়। প্রাচীন গ্রিসে দেবতা জিউসের আবাসস্থল অলিম্পিয়ায় ধর্মীয় রীতি-রেওয়াজের সঙ্গে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হতো। মূলত প্রাচীন গ্রিক নগর রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরাই অংশ নিত এ প্রতিযোগিতায়। প্রথম দিকে অলিম্পিক ছিল কেবল এক দিনের একটি দৌড় প্রতিযোগিতার উৎসব। কালক্রমে এতে যুক্ত হয় নানা ধরনের পর্ব।  আধুনিক অলিম্পিকের প্রবর্তন ঘটে ফ্রান্সের মনীষী ব্যারন পিয়েরে কুবার্তার উদ্যোগে। ১৮৯৬ সালে গ্রিসের এথেন্সে আধুনিক অলিম্পিকের প্রথম আসর বসে। এরপর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিয়মিত এ আয়োজন হয়ে আসছে। সর্বশেষ, ২০১৬ সালে অলিম্পিক আয়োজিত হয় ব্রাজিলের রিওতে। ২৮টি ক্রীড়ার ৪১টি বিভাগে মোট ৩০৬টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগীদের মধ্যে বিশ্ববাসীর নজর ছিল আমেরিকার সাঁতারু মাইকেল ফেলপস্ এবং জ...

বাংলাদেশের কৃষক

বাংলাদেশের কৃষক বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের জাতীয় অর্থনীতি অনেকটা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নতুন নতুন ফসলের অযুত সম্ভারে এদেশকে যারা সমৃদ্ধ করছে তারা হলো বাংলাদেশের কৃষক, যাদের অধিকাংশই দরিদ্র ও নিরক্ষর। অথচ তারাই এদেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ দেশ ভরে ওঠে ফসলের সমারোহে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য উপাদান খাদ্য তথা ভাত, ডাল, শাকসবজি সবই আসে কৃষি থেকে আর তা উৎপাদন করে কৃষক। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত অনেক শিল্প কৃষিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।  বাংলাদেশের কৃষকরাই এসব শিল্পের কাঁচামালের জোগান দেয়। যেমনঃ বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পের প্রধান উপকরণ পাট, তুলা, রেশম ইত্যাদি আসে কৃষি থেকে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষক বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছে। পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃষি ও কৃষকের এত এত অবদান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কৃষকের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক।  বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক ভূমিহীন। অন্যের জমিতে তারা বর্গাচাষ করে। অনেকের হালের বলদ পর্যন্ত নেই। এছাড়া মধ্যস্বত্ব...

কালবৈশাখী

কালবৈশাখী গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব ভারতে আঘাত হানা একধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের নাম কালবৈশাখী। 'কাল' ও 'বৈশাখী' শব্দ দুটির সমন্বয়ে 'কালবৈশাখী' শব্দটি গঠিত হয়েছে। 'কাল' শব্দের অর্থ সময় বা ঋতু। কালো বর্ণ বোঝাতেও 'কাল' শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। আবার, ধ্বংসকারী অর্থেও শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কালবৈশাখীর নামকরণ কালো বর্ণের মেঘ বা উক্ত ঝড়ের ধ্বংস রুপের কারণে হয়ে থাকতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত বৈশাখ (এপ্রিল-মে) মাস জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে তীব্র বায়ুপ্রবাহ, বজ্রঝড় ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। স্থানীয়ভাবে এ ঝড়কে কালবৈশাখী নামে অভিহিত করা হয়। কোনো স্থানের ভূপৃষ্ঠ অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বায়ুমণ্ডলের ভূমিসংলগ্ন বায়ুও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তপ্ত বায়ু হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে এবং ওই স্থানে বায়ুশূন্য অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী ঠাণ্ডা ও ভারী বায়ু ওই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য প্রবল বেগে ধাবিত হয়। ফলে সেখানে প্রবল ঘূর্ণির সৃষ্টির হয়। এই ঘূর্ণি নিম্ন আকাশে ঘনকালো মেঘ সৃষ্টি করে। ফলে ঘূর্ণিঝড় ও বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। কখনো কখনো শিলাবৃষ্টিও হত...