সততা মানবচরিত্রের এক অনন্য গুণ। সততার ছোঁয়ায় মানবচরিত্র হয়ে ওঠে মহিমান্বিত। সত্যের শক্তিতে জাগ্রত ব্যক্তিই সব ক্ষেত্রে সততা প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে দিয়েই মানুষ অর্জন করে মনুষ্যত্ব। সততার অনুশীলনকারী ব্যক্তিকে সৎ বলা যায়। সৎ ব্যক্তিগণ সব ধরনের অন্যায় ও পাপাচার থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের দ্বারা কখনো কারও অনিষ্ট সাধিত হয় না। বরং তাঁরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে অন্যের উপকার সাধন করেন। সৎ ব্যক্তি কথায় ও কাজে নিষ্ঠাবান হন। তাই সবাই তাঁর ওপর আস্থা রাখে; তাঁকে শ্রদ্ধা করে অন্তর থেকে।
অন্যদিকে, সততা থেকে বিচ্যুত ব্যক্তি সমাজের কলঙ্কস্বরূপ। তার দ্বারা অনেকের ক্ষতি সাধিত হয়। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সে নানারকমের অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে দ্বিধা করে না। এ ধরনের ব্যক্তি সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে ঘৃণিত। তাকে কেউ কোনো কিছুতে বিশ্বাস করে না। সৎ ব্যক্তির সততার নিদর্শন সবাইকে ভালো কাজে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে, অসৎ ব্যক্তির সাময়িক মোক্ষলাভ দুর্বল চিত্তের মানুষদের পাপাচারে লিপ্ত হতে উদ্বুদ্ধ করে।
তাই বলা যায়, সততাই মানবজীবনের চিরমুক্তি ও কল্যাণের পথ। সকল ধর্মেই সততাকে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহৎ ব্যক্তিগণের জীবনী থেকেও দেখা যায়, সততার সৌন্দর্যে তাঁদের চরিত্র উদ্ভাসিত হয়েছিল। সৎ ব্যক্তির হৃদয় ভরে থাকে সত্যের এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। তাই তিনি হন উদার, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও মানবিক। সততার নিয়মিত অনুশীলনে জীবন মধুময় হয়ে ওঠে। ব্যক্তিজীবনে সততাচর্চার মাধ্যমে আমাদের সকলের সত্যাশ্রয়ী জাতিসত্তা গঠনে ভূমিকা রাখা উচিত।
Comments
Post a Comment
👉 মন্তব্যের ক্ষেত্রে পড়াশোনা বিডির নিয়মাবলী পড়তে ক্লিক করুন এখানে।