Skip to main content

সততা

সততা মানবচরিত্রের এক অনন্য গুণ। সততার ছোঁয়ায় মানবচরিত্র হয়ে ওঠে মহিমান্বিত। সত্যের শক্তিতে জাগ্রত ব্যক্তিই সব ক্ষেত্রে সততা প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে দিয়েই মানুষ অর্জন করে মনুষ্যত্ব। সততার অনুশীলনকারী ব্যক্তিকে সৎ বলা যায়। সৎ ব্যক্তিগণ সব ধরনের অন্যায় ও পাপাচার থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের দ্বারা কখনো কারও অনিষ্ট সাধিত হয় না। বরং তাঁরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে অন্যের উপকার সাধন করেন। সৎ ব্যক্তি কথায় ও কাজে নিষ্ঠাবান হন। তাই সবাই তাঁর ওপর আস্থা রাখে; তাঁকে শ্রদ্ধা করে অন্তর থেকে। 

অন্যদিকে, সততা থেকে বিচ্যুত ব্যক্তি সমাজের কলঙ্কস্বরূপ। তার দ্বারা অনেকের ক্ষতি সাধিত হয়। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সে নানারকমের অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে দ্বিধা করে না। এ ধরনের ব্যক্তি সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে ঘৃণিত। তাকে কেউ কোনো কিছুতে বিশ্বাস করে না। সৎ ব্যক্তির সততার নিদর্শন সবাইকে ভালো কাজে উৎসাহ জোগায়। অন্যদিকে, অসৎ ব্যক্তির সাময়িক মোক্ষলাভ দুর্বল চিত্তের মানুষদের পাপাচারে লিপ্ত হতে উদ্বুদ্ধ করে। 

তাই বলা যায়, সততাই মানবজীবনের চিরমুক্তি ও কল্যাণের পথ। সকল ধর্মেই সততাকে জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহৎ ব্যক্তিগণের জীবনী থেকেও দেখা যায়, সততার সৌন্দর্যে তাঁদের চরিত্র উদ্ভাসিত হয়েছিল। সৎ ব্যক্তির হৃদয় ভরে থাকে সত্যের এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। তাই তিনি হন উদার, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও মানবিক। সততার নিয়মিত অনুশীলনে জীবন মধুময় হয়ে ওঠে। ব্যক্তিজীবনে সততাচর্চার মাধ্যমে আমাদের সকলের সত্যাশ্রয়ী জাতিসত্তা গঠনে ভূমিকা রাখা উচিত।

Comments

Popular posts from this blog

ই-বুক রিডার বলতে কি বোঝ?

প্রশ্নঃ ই-বুক রিডার বলতে কি বোঝ? উত্তরঃ ইলেক্ট্রনিক বুক রিডার এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে ই-বুক রিডার। সাধারণ ই-বুক হচ্ছে ছবি ও লেখা সমৃদ্ধ একটি ডিজিটাল সিস্টেম যেতি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস দিয়ে পড়া যায়। ই-বুক রিডার হচ্ছে ই-বুক পড়ার একটি সফটওয়্যার। ই-বুক রিডার এ সহস্রাধিক বই ডাউনলোড করে রাখা যায়। পরবর্তীতে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন বই ওপেন করে সাধারণ বইয়ের মত পড়া যায়। বইয়ের মত এখানে পাতা উল্টানো যায়। প্রয়োজনে যে কোনো পৃষ্ঠায় চলে যাওয়া যায়। 

শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখো।

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বরাবর  প্রধান শিক্ষক  ময়মনসিংহ গার্লস স্কুল  বিষয়ঃ শিক্ষাসফরে যাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অনুমতি প্রদানের আবেদন। জনাব, সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের 'ক' শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমরা ঠিক করেছি  শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষাসফরে কুয়াকাটা যাব। সেখানকার সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করব। শিক্ষাসফরে আমরা তিন দিন থাকব। আর এ তিন দিনে আমাদের প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আমাদের পক্ষে এতো টাকা বহন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা আপনার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনার অনুমতি পেলে আমরা এ টাকার অর্ধেক নিজেরা চাঁদার মাধ্যমে সংগ্রহ করব।  অতএব বিনীত প্রার্থনা, এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।  বিনীত  'ক' শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে  মারজিয়া রহমান  রোল নম্বরঃ ০২

সাধু ভাষারীতি এবং চলিত ভাষারীতি

  সাধু ভাষারীতি এবং চলিত ভাষারীতি সাধু ভাষারীতিঃ যে ভাষারীতি অধিকতর গাম্ভীর্যপূর্ণ, তৎসম শব্দবহুল, ক্রিয়াপদের রুপ প্রাচীনরীতি অনুসারী এবং আঞ্চলিকতামুক্ত তা-ই সাধু ভাষারীতি। যেমনঃ এক ব্যক্তির দুইটি পুত্র ছিল। চলিত ভাষারীতিঃ ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী স্থানসমূহের মৌখিক ভাষারীতি মানুষের মুখে মুখে রূপান্তর লাভ করে প্রাদেশিক শব্দাবলি গ্রহণ এবং চমৎকার বাকভঙ্গির সহযোগে গড়ে ওঠে। এই ভাষারীতিকেই চলিত ভাষারীতি বলে। যেমনঃ একজন লোকের দুটি ছেলে ছিল। সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য ক. সাধু ভাষার রুপ অপরিবর্তনীয়। অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে এর কোনো পরিবর্তন হয় না। খ . এ ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে চলে। এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। গ . সাধু ভাষারীতিতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি বলে এ ভাষায় এক প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য আছে। ঘ . সাধু ভাষারীতি সুধু লেখায় ব্যবহার হয়। তাই কথাবার্তা, বক্তৃতা, ভাষণ ইত্যাদির উপযোগী নয়। ঙ . সাধু ভাষারীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরুপ  ব্যবহৃত হয়। চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য ক . চলিত ভাষা সর্বজনগ্রাহ্য মার্জিত ও গতিশীল ভাষা। তাই এটি মানুষের কথাব...