Skip to main content

কম্পিউটারের ইতিহাস

                                                                                   

কম্পিউটারের ইতিহাস 

নানা বিবর্তন ও পরিবর্তন হয়ে আজকের এই আধুনিক কম্পিউটার বাস্তব রূপ লাভ করেছে। 

প্রাথমিক যুগে আঙ্গুল দিয়ে, পাথর বা পায়ের দাগ কেটে গণনার পরিবর্তে আধুনিক যুগের ডিজিটাল বা সংখ্যাভিত্তিক গণনা শুরু হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে গণনা যন্ত্র অ্যাবাকাস সর্বপ্রথম পূর্ব চীন দেশে শুরু হয়েছিল। স্থান ভেদে এর নাম ও ধরণ কিছুটা ভিন্ন হয়ে বিভিন্ন দেশে ব্যবহার হতো বলে আমরা জানতে পারি। যেমনঃ একই অ্যাবাকাস কিছুটা ভিন্ন গঠনে জাপানে সরোবার, চীনে সুয়ান-পান এবং রাশিয়ায় স্কোটিয়া নামে পরিচিত। প্রাচীনকাল অ্যাবাকাস যন্ত্রটি প্রচুর ব্যবহৃত হলেও মানুষ এতে সন্তুষ্ট থাকতে পারেনি।সেজন্য যুগে যুগে বিভিন্ন মনিষীবিদগণ আবিষ্কারের নতুন নতুন ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার ১৬১৫ সালে হিসাব নিকাশের জন্য হাতির দাঁতের ছোট ছোট অংশ দিয়ে একটি যন্ত্র তৈরি করেন। যন্ত্রটি "নেপিয়ারের হাড়ে" নামে পরিচিত।

জার্মানির মুলার নামে এক ব্যক্তি ১৭৮৬ সালে ডিফারেন্স ইঞ্জিন নামে একটি বিয়োগ করার যন্ত্র ক্যালকুলেটর বা গণনা যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেন। এরপর ১৮২২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ আরো উন্নত মানের ডিফারেন্স ইঞ্জিন তৈরির কিছুটা এগিয়ে নেন।

                                     

এরপর ১৮৩৩ সালে সর্বপ্রথম চার্লস ব্যাবেজ "অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন" নামে যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ইঞ্জিনের নকশা তৈরি করেন।

ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন এর পরিকল্পনা আধুনিক কম্পিউটারের ধারণা ছিল বিধায় চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।


Comments

Popular posts from this blog

ই-বুক রিডার বলতে কি বোঝ?

প্রশ্নঃ ই-বুক রিডার বলতে কি বোঝ? উত্তরঃ ইলেক্ট্রনিক বুক রিডার এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে ই-বুক রিডার। সাধারণ ই-বুক হচ্ছে ছবি ও লেখা সমৃদ্ধ একটি ডিজিটাল সিস্টেম যেতি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস দিয়ে পড়া যায়। ই-বুক রিডার হচ্ছে ই-বুক পড়ার একটি সফটওয়্যার। ই-বুক রিডার এ সহস্রাধিক বই ডাউনলোড করে রাখা যায়। পরবর্তীতে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন বই ওপেন করে সাধারণ বইয়ের মত পড়া যায়। বইয়ের মত এখানে পাতা উল্টানো যায়। প্রয়োজনে যে কোনো পৃষ্ঠায় চলে যাওয়া যায়। 

শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখো।

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বরাবর  প্রধান শিক্ষক  ময়মনসিংহ গার্লস স্কুল  বিষয়ঃ শিক্ষাসফরে যাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অনুমতি প্রদানের আবেদন। জনাব, সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের 'ক' শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমরা ঠিক করেছি  শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষাসফরে কুয়াকাটা যাব। সেখানকার সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করব। শিক্ষাসফরে আমরা তিন দিন থাকব। আর এ তিন দিনে আমাদের প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আমাদের পক্ষে এতো টাকা বহন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা আপনার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনার অনুমতি পেলে আমরা এ টাকার অর্ধেক নিজেরা চাঁদার মাধ্যমে সংগ্রহ করব।  অতএব বিনীত প্রার্থনা, এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।  বিনীত  'ক' শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে  মারজিয়া রহমান  রোল নম্বরঃ ০২

সাধু ভাষারীতি এবং চলিত ভাষারীতি

  সাধু ভাষারীতি এবং চলিত ভাষারীতি সাধু ভাষারীতিঃ যে ভাষারীতি অধিকতর গাম্ভীর্যপূর্ণ, তৎসম শব্দবহুল, ক্রিয়াপদের রুপ প্রাচীনরীতি অনুসারী এবং আঞ্চলিকতামুক্ত তা-ই সাধু ভাষারীতি। যেমনঃ এক ব্যক্তির দুইটি পুত্র ছিল। চলিত ভাষারীতিঃ ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী স্থানসমূহের মৌখিক ভাষারীতি মানুষের মুখে মুখে রূপান্তর লাভ করে প্রাদেশিক শব্দাবলি গ্রহণ এবং চমৎকার বাকভঙ্গির সহযোগে গড়ে ওঠে। এই ভাষারীতিকেই চলিত ভাষারীতি বলে। যেমনঃ একজন লোকের দুটি ছেলে ছিল। সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য ক. সাধু ভাষার রুপ অপরিবর্তনীয়। অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে এর কোনো পরিবর্তন হয় না। খ . এ ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে চলে। এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। গ . সাধু ভাষারীতিতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি বলে এ ভাষায় এক প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য আছে। ঘ . সাধু ভাষারীতি সুধু লেখায় ব্যবহার হয়। তাই কথাবার্তা, বক্তৃতা, ভাষণ ইত্যাদির উপযোগী নয়। ঙ . সাধু ভাষারীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরুপ  ব্যবহৃত হয়। চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য ক . চলিত ভাষা সর্বজনগ্রাহ্য মার্জিত ও গতিশীল ভাষা। তাই এটি মানুষের কথাব...