Skip to main content

History of Windows

History of Windows

Windows এর ইতিহাসঃ ১৯৯৫ সালের পূর্ববর্তী সময়ে আমরা Windows Operating System ব্যবহার করেছি। কিন্তু সেটি ছিল DOS ভিত্তিক। DOS নির্ভর হওয়ায় এর ব্যবহার ছিল জটিল প্রকৃতির। কম্পিউটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে সরাসরি উইন্ডোজ পর্দায় না এসে শুধু স্ক্রীন এর উপরে Root Directory (C:\>) চিহ্নটি আসত। Command এর মাধ্যমে উইন্ডোজকে পর্দায় আনতে হতো।

উইন্ডোজ এর ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় এর প্রথম ভার্সন 2.0 ( DOS base ) আবিষ্কার হয় ১৯৮৮ সালে। এরপর ১৯৯০ - ১৯৯২ সাল পর্যন্ত 3.0, 3.1 এবং 3.1.1 এর সংস্করণ হয়। উপরোক্ত ভার্সনগুলো DOS নির্ভর হওয়ায় এর ব্যবহার ছিল Command ভিত্তিক। যেমনঃ Windows কে Run করতে হতো C:\>cd\windows ( Enter ) তারপর আবার C:\windows>win লিখে। কমান্ড ভুল করলে Computer run করানো সম্ভব হতো না।

এসব কথা মাথায় রেখে Microsoft Corporation ১৯৯৫ সালে Windows ' 95 আবিষ্কার করে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে, যা কম্পিউটারের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। এটি ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি চিত্রভিত্তিক Operating System ( GUI - Graphical User Interface ). Windows ' 95 স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও Internet ব্যবহারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ছিল। 

এর পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে নতুন Feature সম্বলিত Windows বাজারজাত করে, যাতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সকল সুবিধা বিদ্যমান ছিল। ১৯৯৮ এর পরের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সবাই মোটামুটি জ্ঞাত। সহজে Install প্রক্রিয়া সম্বলিত Windows XP, Windows 7, Windows 8, Windows 10 সহ বিভিন্ন নামের সংস্করণ ভার্সন আমরা বর্তমানে ব্যবহার করছি। 

Comments

Popular posts from this blog

ই-বুক রিডার বলতে কি বোঝ?

প্রশ্নঃ ই-বুক রিডার বলতে কি বোঝ? উত্তরঃ ইলেক্ট্রনিক বুক রিডার এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে ই-বুক রিডার। সাধারণ ই-বুক হচ্ছে ছবি ও লেখা সমৃদ্ধ একটি ডিজিটাল সিস্টেম যেতি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস দিয়ে পড়া যায়। ই-বুক রিডার হচ্ছে ই-বুক পড়ার একটি সফটওয়্যার। ই-বুক রিডার এ সহস্রাধিক বই ডাউনলোড করে রাখা যায়। পরবর্তীতে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন বই ওপেন করে সাধারণ বইয়ের মত পড়া যায়। বইয়ের মত এখানে পাতা উল্টানো যায়। প্রয়োজনে যে কোনো পৃষ্ঠায় চলে যাওয়া যায়। 

শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখো।

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বরাবর  প্রধান শিক্ষক  ময়মনসিংহ গার্লস স্কুল  বিষয়ঃ শিক্ষাসফরে যাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অনুমতি প্রদানের আবেদন। জনাব, সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের 'ক' শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমরা ঠিক করেছি  শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষাসফরে কুয়াকাটা যাব। সেখানকার সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করব। শিক্ষাসফরে আমরা তিন দিন থাকব। আর এ তিন দিনে আমাদের প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আমাদের পক্ষে এতো টাকা বহন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা আপনার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনার অনুমতি পেলে আমরা এ টাকার অর্ধেক নিজেরা চাঁদার মাধ্যমে সংগ্রহ করব।  অতএব বিনীত প্রার্থনা, এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।  বিনীত  'ক' শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে  মারজিয়া রহমান  রোল নম্বরঃ ০২

সাধু ভাষারীতি এবং চলিত ভাষারীতি

  সাধু ভাষারীতি এবং চলিত ভাষারীতি সাধু ভাষারীতিঃ যে ভাষারীতি অধিকতর গাম্ভীর্যপূর্ণ, তৎসম শব্দবহুল, ক্রিয়াপদের রুপ প্রাচীনরীতি অনুসারী এবং আঞ্চলিকতামুক্ত তা-ই সাধু ভাষারীতি। যেমনঃ এক ব্যক্তির দুইটি পুত্র ছিল। চলিত ভাষারীতিঃ ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী স্থানসমূহের মৌখিক ভাষারীতি মানুষের মুখে মুখে রূপান্তর লাভ করে প্রাদেশিক শব্দাবলি গ্রহণ এবং চমৎকার বাকভঙ্গির সহযোগে গড়ে ওঠে। এই ভাষারীতিকেই চলিত ভাষারীতি বলে। যেমনঃ একজন লোকের দুটি ছেলে ছিল। সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য ক. সাধু ভাষার রুপ অপরিবর্তনীয়। অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে এর কোনো পরিবর্তন হয় না। খ . এ ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে চলে। এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। গ . সাধু ভাষারীতিতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি বলে এ ভাষায় এক প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য আছে। ঘ . সাধু ভাষারীতি সুধু লেখায় ব্যবহার হয়। তাই কথাবার্তা, বক্তৃতা, ভাষণ ইত্যাদির উপযোগী নয়। ঙ . সাধু ভাষারীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরুপ  ব্যবহৃত হয়। চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য ক . চলিত ভাষা সর্বজনগ্রাহ্য মার্জিত ও গতিশীল ভাষা। তাই এটি মানুষের কথাব...