Skip to main content

RAM ও ROM কি?

 

RAM ও ROM কি?

সংজ্ঞা দেওয়ার পূর্বে প্রথমেই RAM ও ROM সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়ার জন্য আলোচনা করা যাক। ধরুন আপনি ১ ঘণ্টা যাবৎ যে কোনো বিষয়ের উপর আলোচনা শুনছেন। ঘণ্টাব্যাপি যা কিছু আলোচনা হয়েছে আপনি তার সব কিছুই কি মনে রাখতে পেরেছেন? অবশ্যই না। কিছু কথা হয়তো আপনি স্থায়ীভাবে মনে রাখতে পারবেন। আর বাকিগুলো সব স্মৃতি থেকে মুছে যাবে। অর্থাৎ আমরা সারা জীবনে যা কিছু শুনি তার সবটাই যদি স্মরণে থাকতো তাহলে স্মৃতি কিন্তু এক সময় শেষ হয়ে যেত। কিন্তু তা না হয়ে আপনার কথাগুলো যে স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে গেঁথে আছে ঐ স্মৃতিকে আমরা ROM এবং যে স্মৃতি কথাগুলো ধরে রাখতে পারে না তাকে আমরা RAM এর সাথে তুলনা করতে পারি। 

ROM (Read Only Memory): ROM এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Read Only Memory. ROM এর মধ্যে লেখা তথ্যকে আমরা শুধু পড়তে পারি, মুছে ফেলতে বা লিখতে পারি না। ROM কম্পিউটারের একটি স্থায়ী স্মৃতি। বিদ্যুৎ চলে গেলে বা আপনা আপনি কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে ROM এর মধ্যে লেখা তথ্য মুছে যায় না। ROM-এ অতি প্রয়োজনীয় কিছু স্থায়ী নির্দেশনা দেয়া থাকে। এ নির্দেশনার সাহায্যেই Microprocessor কম্পিউটার চালনা করে। অর্থাৎ ROM এর মৌলিক নির্দেশ ছাড়া কম্পিউটার চলতে পারে না। কম্পিউটার তৈরির সময়ই ROM এর নির্দেশনা সন্নিবেশিত করে দেওয়া হয়। 

RAM (Random Access Memory): RAM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Random Access Memory. RAM কম্পিউটারের একটি ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি। আমরা কম্পিউটারে যে সকল কাজ করে থাকি তার সবটাই কিন্তু RAM এর মধ্যে সংগঠিত হয়। কোনো কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে বা কম্পিউটার ব্যবহারকারী যদি বন্ধ করে দেন তখন RAM-এ সংগঠিত সকল লেখা তথ্য মুছে যায় অর্থাৎ RAM পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে যায়। পরবর্তীতে কম্পিউটার পুনরায় চালু করলে RAM নতুন তথ্য বা প্রোগ্রাম গ্রহণ করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকে।

Comments

Popular posts from this blog

ই-বুক রিডার বলতে কি বোঝ?

প্রশ্নঃ ই-বুক রিডার বলতে কি বোঝ? উত্তরঃ ইলেক্ট্রনিক বুক রিডার এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে ই-বুক রিডার। সাধারণ ই-বুক হচ্ছে ছবি ও লেখা সমৃদ্ধ একটি ডিজিটাল সিস্টেম যেতি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস দিয়ে পড়া যায়। ই-বুক রিডার হচ্ছে ই-বুক পড়ার একটি সফটওয়্যার। ই-বুক রিডার এ সহস্রাধিক বই ডাউনলোড করে রাখা যায়। পরবর্তীতে ইচ্ছানুযায়ী যে কোন বই ওপেন করে সাধারণ বইয়ের মত পড়া যায়। বইয়ের মত এখানে পাতা উল্টানো যায়। প্রয়োজনে যে কোনো পৃষ্ঠায় চলে যাওয়া যায়। 

শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখো।

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বরাবর  প্রধান শিক্ষক  ময়মনসিংহ গার্লস স্কুল  বিষয়ঃ শিক্ষাসফরে যাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অনুমতি প্রদানের আবেদন। জনাব, সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের 'ক' শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমরা ঠিক করেছি  শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষাসফরে কুয়াকাটা যাব। সেখানকার সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করব। শিক্ষাসফরে আমরা তিন দিন থাকব। আর এ তিন দিনে আমাদের প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আমাদের পক্ষে এতো টাকা বহন করা সম্ভব নয়। তাই আমরা আপনার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনার অনুমতি পেলে আমরা এ টাকার অর্ধেক নিজেরা চাঁদার মাধ্যমে সংগ্রহ করব।  অতএব বিনীত প্রার্থনা, এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।  বিনীত  'ক' শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে  মারজিয়া রহমান  রোল নম্বরঃ ০২

সাধু ভাষারীতি এবং চলিত ভাষারীতি

  সাধু ভাষারীতি এবং চলিত ভাষারীতি সাধু ভাষারীতিঃ যে ভাষারীতি অধিকতর গাম্ভীর্যপূর্ণ, তৎসম শব্দবহুল, ক্রিয়াপদের রুপ প্রাচীনরীতি অনুসারী এবং আঞ্চলিকতামুক্ত তা-ই সাধু ভাষারীতি। যেমনঃ এক ব্যক্তির দুইটি পুত্র ছিল। চলিত ভাষারীতিঃ ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী স্থানসমূহের মৌখিক ভাষারীতি মানুষের মুখে মুখে রূপান্তর লাভ করে প্রাদেশিক শব্দাবলি গ্রহণ এবং চমৎকার বাকভঙ্গির সহযোগে গড়ে ওঠে। এই ভাষারীতিকেই চলিত ভাষারীতি বলে। যেমনঃ একজন লোকের দুটি ছেলে ছিল। সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য ক. সাধু ভাষার রুপ অপরিবর্তনীয়। অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে এর কোনো পরিবর্তন হয় না। খ . এ ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে চলে। এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। গ . সাধু ভাষারীতিতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি বলে এ ভাষায় এক প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য আছে। ঘ . সাধু ভাষারীতি সুধু লেখায় ব্যবহার হয়। তাই কথাবার্তা, বক্তৃতা, ভাষণ ইত্যাদির উপযোগী নয়। ঙ . সাধু ভাষারীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরুপ  ব্যবহৃত হয়। চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য ক . চলিত ভাষা সর্বজনগ্রাহ্য মার্জিত ও গতিশীল ভাষা। তাই এটি মানুষের কথাব...