Skip to main content

Posts

ইন্টারনেট

ইন্টারনেট শব্দটি ইন্টার নেটওয়ার্কের (Inter Network) সংক্ষিপ্ত রুপ। ইন্টারনেট হলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কম্পিউটার সমূহের মধ্যে একটি আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় প্রতিটি কম্পিউটার একটি সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি করে ঠিকানা থাকে। প্রযুক্তির ভাষায় এই ঠিকানাকে আই.পি. অ্যাড্রেস বা ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস বলে। এই আই.পি. অ্যাড্রেস ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি নেটওয়ার্ক (ARPANET) পরীক্ষামূলকভাবে কম্পিউটারের মাধ্যমে একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এ প্রক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তখন থেকেই ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীকালে ১৯৮৯ সালে সুইজারল্যান্ডের সার্নের (CERN) বিজ্ঞানীগণ তাঁদের নিজেদের মধ্যে ব্যবহারের জন্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) উদ্ভাবন করেন, যা ১৯৯১ সালে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।...

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।

ভাব-সম্প্রসারণঃ লোভ মানুষকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে দেয়। অসৎ উপায় অবলম্বন করতে প্ররোচিত করে। লোভী মানুষ তাই পাপকার্য করতে দ্বিধাবোধ করে না। লোভের পরিণাম অতি ভয়াবহ, এমনকি মৃত্যুও বিচিত্র নয়। লোভ মানবচরিত্রের এক অন্ধকার দিক। লোভ থেকেই জাগতিক যাবতীয় পাপের উৎপত্তি। লোভের মায়ামোহে আচ্ছন্ন থেকে মানুষ সত্য ও সুন্দরকে অবজ্ঞা করে। সে বৈষয়িক বুদ্ধির প্রেরণায় পার্থিব ধন-সম্পদ আহরণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু যখনই সে তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়, তখন নির্দ্বিধায় নিমজ্জিত হয় পাপাচারে। সে ক্রমশ অবৈধ ও জঘন্য পথে অগ্রসর হয়। তাই লোভী মানুষ একসময় হয়ে ওঠে পশুর মতো। সত্যের জয় আর অসত্যের বিনাশ অনিবার্য। লোভী মানুষ নিজের সেই পরিণতির কথা ভুলে যায়। আর এভাবেই লোভ মানুষকে ধ্বংসের পথে টেনে নেয়। ওপর পক্ষে নির্লোভ ব্যক্তি পাপমুক্ত, সত্য ও সুন্দর জীবন লাভ করে। তার জীবনে ভোগের তাড়না নেই। ফলে তার মাঝে লোভ এবং পাপের অস্তিত্ব নেই। লোভী ব্যক্তিরাই পথভ্রষ্ট হয়। অন্যায়, অসত্য আর পাপের পথে ধাবিত হয়ে অকালমৃত্যুর মুখোমুখি হয়। লোভ বর্জন না করলে জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করা যায় না। নির্লোভ মানুষ সকলের শ্রদ্ধাও ভক্তি অর্জন করে।

মিথ্যা সকল পাপের মূল

একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নিকট এক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার মধ্যে তিনটি বদ অভ্যাস রয়েছে। তা হলোঃ মিথ্যা বলা, চুরি করা ও মদ খাওয়া। আমি তিনটি বদ অভ্যাসই ছেড়ে দিতে চাই। কিন্তু এক সাথে এর সব ক'টি ছাড়তে পারছি না। আমাকে একটি একটি করে এগুলো ত্যাগ করার সুযোগ দিন এবং কোনটি আগে ত্যাগ করবো, তা বলে দিন। রাসুল (সা.) একটু চিন্তা করে বললেন, তুমি প্রথমে মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ কর। আর এই ত্যাগ করার ওপর স্থির আছ কিনা, তা জানানোর জন্য মাঝে মাঝে আমার কাছে এসো। সে এতে রাজী হয়ে চলে গেল এবং কোন অবস্থাতেই মিথ্যা বলবে না বলে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করলো। রাতে সে অভ্যাসমত চুরি করতে বেরিয়ে পড়লো। কেননা এটা তো সে ত্যাগ করার ওয়াদা করেনি। কিন্তু কিছুদূর গেলেই তার মনে হলোঃ রাসুল (সা.) এর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি যদি চুরি করেছি কিনা জিজ্ঞাসা করেন, তখন মিথ্যা তো বলা যাবে না। সত্য বলে স্বীকারোক্তি দিতে হবে। আর তাহলে রাসুল (সা.) এর দরবারে অপমান তো সহ্য করতেই হবে। উপরন্ত হাতটাও কাটা যাবে। অনেক ভেবে চিন্তে সে ফিরে এলো। সেই রাতে আর চুরি করতে যাওয়া হলো না। এরপর সে মদ খাওয়ার জন্য গ্লাস হাতে নিয়ে তাতে ...

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান বা, প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা সুচনাঃ বিজ্ঞানের জয়যাত্রা মানুষকে করেছে গতিশীল। এককালের গুহাবাসী, অরণ্যচারী মানুষ আজ বিজ্ঞানের বদৌলতে চলে এসেছে পারমাণবিক যুগে। ছুটছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে। বিজ্ঞানের শক্তিতে মানবসভ্যতার জয়যাত্রা রয়েছে অপ্রতিরোধ্য। প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞানঃ বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে আমরা বিজ্ঞানের অবদানকে কাজে লাগাচ্ছি। ব্রাশ ও  টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা, বেসিনে বা কলে মুখ ধোঁয়া, হিটারে বা গ্যাসের চুলায় নাস্তা তৈরি করা, বাথরুমে ট্যাপে বা শাওয়ারে গোসল করাー প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আমাদের সঙ্গী। ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করা, ইস্ত্রি দিয়ে কাপড় ইস্ত্রি করা, রিকশা-অটোরিকশা বা বাসে যাতায়াত, কলকারখানার যন্ত্রপাতি চালানো一 এসবের প্রতিটিই বিজ্ঞানের অবদান। দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের জন্য আমরা যে মোবাইল, ফাক্স, ই-মেইল ব্যবহার করি সেসবও বিজ্ঞানের দান। খবরের কাগজ, রেডিও, টেলিভিশন, সিনেমা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা যেসব তথ্য সংগ্রহ ও বিনোদনের স...

ট্রেনে ভ্রমণ

সুচনাঃ খুব ছোটবেলায় আমি একাধিকবার ট্রেন ভ্রমণ করেছি, কিন্তু সেসব আমার ভালো মনে নেই। যে ট্রেন ভ্রমণটি আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল তা হলো চট্টগ্রাম থেকে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা। ভ্রমণ কি?: অজানাকে জানার জন্য মানুষের রয়েছে দুনির্বার আকর্ষণ। নতুন নতুন জিনিস স্বচক্ষে দেখে সে সম্পর্কে জ্ঞানলাভের জন্য মানুষ পারি জমায় দেশ-বিদেশের নানা স্থানে। অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে এই স্থানান্তরের নামই ভ্রমণ। ভ্রমনের মাধ্যমে মানুষ বিশ্বকে সবচেয়ে ভালোভাবে অনুভব করার সুযোগ পায়। ভ্রমনের পথসমুহঃ স্থল, জল, আকাশ সমস্তই এখন মানুষের করায়ত্ত। এই সবগুলো পথেই রয়েছে ভ্রমণের অবারিত সুযোগ। স্থলপথে বাস, ট্রেন, রিকশা ইত্যাদির মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়। নদীপথে লঞ্চ, নৌকা আর আকাশ পথে বিমান হেলিকপ্টার মানুষের ভ্রমণের বাহন। তবে দীর্ঘ দুরুত্বে আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য ট্রেন ভ্রমণের জুড়ি নেই। ট্রেন ভ্রমণের শুরুঃ তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হয়ে গেছে। হাতে লম্বা ছুটি, শীতও তখন মাত্র শুরু হচ্ছে। এমনি সময়ে আমার ছোট খালা আমাদের মৌলভীবাজারে আমন্ত্রণ জানালেন। যাত্রার তারিখ ঠিক করে বাবা টিকেট কেটে আনলেন। যাত্রার দিন অটোরিকশা...

নবীর শিক্ষা, করো না ভিক্ষা।

একবার এক ব্যক্তি রাসুল (সাঃ) এর কাছে এসে ভিক্ষা চাইল। রাসুল (সাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার বাড়িতে কি কিছুই নেই? সে বললো একটা কম্বল আছে যার একাংশ পরিধান করি এবং একাংশ বিছিয়ে শুই। আর একটা পেয়ালা যা দিয়ে পানি পান করি। রাসুল (সাঃ) বললেন; যাও, ঐ দুটি জিনিস আমার কাছে নিয়ে এসো। লোকটি তৎক্ষণাত গিয়ে জিনিস দুটি নিয়ে এলো। রাসুল (সাঃ) জিনিস দুটি তার কাছ থেকে নিয়ে নিলেন এবং সমবেত সাহাবীকে বললেন, এই জিনিস দুটি তোমরা কেউ কিনবে নাকি? একজন সাহাবী বললেন, আমি এক দিরহামে নিতে পারি। অপর একজন বললেন, আমি দুই দিরহামে নিতে পারি। রাসুল (সাঃ) দ্বিতীয় ব্যক্তিকে পেয়ালা ও কম্বলটি দিলেন এবং তার কাছ থেকে দুই দিরহাম নিয়ে ঐ লোকটিকে দিলেন। তাকে বললেন, এক দিরহাম দিয়ে খাবার কিনে তোমার পরিবারকে দাও। আর এক দিরহাম দিয়ে একখানা কুঠার কিনে আমার কাছে নিয়ে এসো। লোকটি কুঠার কিনে নিয়ে এলে রাসুল (সাঃ) তাতে আছাড়ি লাগিয়ে দিয়ে বললেন, ''যাও এ দিয়ে কাঠ কাটবে। ১৫ দিনের মধ্যে তোমাকে যেন আমি না দেখি।'' সে নির্দেশ মোতাবেক কাজ করলো। একদিন এসে জানালো যে, দশ দিরহাম লাভ পেয়েছে। এর কিছু দিয়ে সে খাবার এবং কিছু দিয়ে কাপড় কিনল। রাসু...

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ব্যয়বহুল নগরী

স্থান শহর দেশ প্রথম সিঙ্গাপুর সিটি সিঙ্গাপুর দ্বিতীয় প্যারিস ফ্রান্স তৃতীয় অসলো নরওয়ে চতুর্থ জুরিখ সুইজারল্যান্ড পঞ্চম সিডনি অস্ট্রেলিয়া ষষ্ঠ কারাকাস ভেনিজুয়েলা সপ্তম জেনেভা সুইজারল্যান্ড অষ্টম মেলবোর্ন অস্ট্রেলিয়া নবম টোকিও জাপান দশম কোপেনহেগেন ডেনমার্ক [সুত্রঃ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট]