ভাব-সম্প্রসারণঃ জ্ঞানের মূল কাজ মানুষের মাঝে মূল্যবোধ সৃষ্টি করা। এর কল্যাণেই মানুষ সত্য ও অসত্যের মাঝে পার্থক্য অনুধাবনে সক্ষম হয়। তাই জ্ঞানহীন মানুষকে প্রকৃত মানুষ বলা যায় না। জ্ঞান মানুষের এক অনন্য মানবীয় গুণ। জ্ঞানই মানুষকে সৃষ্টির অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। জ্ঞানের বলেই মানুষ সবকিছুকে নিরীক্ষণ করতে পারে। ভালো-মন্দ ও ন্যায়-অন্যায় বিচারবোধের অধিকারী হতে পারে। প্রকৃত জ্ঞান বিবেকবোধের জাগরণ ঘটায়। মানুষকে সত্য, সুন্দর ও আলোকিত পথের নির্দেশ দেয়। জ্ঞানের আলোকে মানুষের জীবন বিকশিত হয়ে ওঠে। জ্ঞানের আলো যার অন্তরে পৌঁছায় না, তার মধ্যে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে না। ভালো-মন্দের প্রভেদ বুঝতে পারে না বলে প্রায়ই সে কুপথে পরিচালিত হয়। জ্ঞানী ব্যক্তি কখনো খারাপ কাজে প্রবৃত্ত হতে পারে না। বিবেক তাকে খারাপ কাজ করতে বাধা দেয়। তাই মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। কিন্তু জ্ঞানহীন মানুষ পশুর মতোই নির্বোধ। সে ন্যায়-অন্যায় বোঝে না। তাই সে পশুসুলভ আচরণেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। জ্ঞানের বলেই মানুষ সকল প্রাণীর ওপর প্রভুত্ব করেছে। তাই জ্ঞান অর্জিত না হলে আধুনিক জীবনের সম্পূর্ণ স্...
সুচনাঃ মানুষের জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা অর্জনের সময়টিই হচ্ছে ছাত্রজীবন। এ সময়ের রুচিত হয় মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি। লেখাপড়ার পাশাপাশি সুন্দর জীবন গঠনের শিক্ষা এ সময়েই অর্জন করতে হয়। এক্ষেত্রে সামান্য অবহেলা গোটা জীবনকেই নষ্ট করে দিতে পারে। তাই ছাত্রজীবনে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে প্রয়োজন সতর্কতা, নিষ্ঠা ও সমুজ্জ্বল জীবনাদর্শ। ছাত্রজীবনঃ বৃহত্তম অর্থে মানুষের সমস্ত জীবনই ছাত্রজীবন। তবে সীমিত অর্থে ছাত্র জীবন বলতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনকে বোঝায়। মানুষ ছেলেবেলায় প্রথমে মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজনের কাছে অনেক কিছু শেখে। এরপর শিক্ষার আনুষ্ঠানিক হাতেখড়ি হয় প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এখান থেকেই মানুষের প্রকৃত ছাত্রজীবন শুরু হয়। ছাত্রজীবনের লক্ষ্যঃ ভবিষ্যৎ জীবন নানাবিধ সম্ভবনা ও প্রতিকূলতায় পরিপূর্ণ। সেই সম্ভবনাগুলোকে বিকশিত করা ও প্রতিকূলতাগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য ছাত্রজীবন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। মানবজীবনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মতো মানুষ হওয়া। আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিজের চরিত্রকে গড়ে তুলতে হয়। চরিত্রে যেন অধ্যবসায়। সহানুভূতি, দেশপ্...