Skip to main content

Posts

মিথ্যা সকল পাপের মূল

একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নিকট এক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার মধ্যে তিনটি বদ অভ্যাস রয়েছে। তা হলোঃ মিথ্যা বলা, চুরি করা ও মদ খাওয়া। আমি তিনটি বদ অভ্যাসই ছেড়ে দিতে চাই। কিন্তু এক সাথে এর সব ক'টি ছাড়তে পারছি না। আমাকে একটি একটি করে এগুলো ত্যাগ করার সুযোগ দিন এবং কোনটি আগে ত্যাগ করবো, তা বলে দিন। রাসুল (সা.) একটু চিন্তা করে বললেন, তুমি প্রথমে মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ কর। আর এই ত্যাগ করার ওপর স্থির আছ কিনা, তা জানানোর জন্য মাঝে মাঝে আমার কাছে এসো। সে এতে রাজী হয়ে চলে গেল এবং কোন অবস্থাতেই মিথ্যা বলবে না বলে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করলো। রাতে সে অভ্যাসমত চুরি করতে বেরিয়ে পড়লো। কেননা এটা তো সে ত্যাগ করার ওয়াদা করেনি। কিন্তু কিছুদূর গেলেই তার মনে হলোঃ রাসুল (সা.) এর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি যদি চুরি করেছি কিনা জিজ্ঞাসা করেন, তখন মিথ্যা তো বলা যাবে না। সত্য বলে স্বীকারোক্তি দিতে হবে। আর তাহলে রাসুল (সা.) এর দরবারে অপমান তো সহ্য করতেই হবে। উপরন্ত হাতটাও কাটা যাবে। অনেক ভেবে চিন্তে সে ফিরে এলো। সেই রাতে আর চুরি করতে যাওয়া হলো না। এরপর সে মদ খাওয়ার জন্য গ্লাস হাতে নিয়ে তাতে ...

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান বা, প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা সুচনাঃ বিজ্ঞানের জয়যাত্রা মানুষকে করেছে গতিশীল। এককালের গুহাবাসী, অরণ্যচারী মানুষ আজ বিজ্ঞানের বদৌলতে চলে এসেছে পারমাণবিক যুগে। ছুটছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে। বিজ্ঞানের শক্তিতে মানবসভ্যতার জয়যাত্রা রয়েছে অপ্রতিরোধ্য। প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞানঃ বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে আমরা বিজ্ঞানের অবদানকে কাজে লাগাচ্ছি। ব্রাশ ও  টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা, বেসিনে বা কলে মুখ ধোঁয়া, হিটারে বা গ্যাসের চুলায় নাস্তা তৈরি করা, বাথরুমে ট্যাপে বা শাওয়ারে গোসল করাー প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আমাদের সঙ্গী। ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করা, ইস্ত্রি দিয়ে কাপড় ইস্ত্রি করা, রিকশা-অটোরিকশা বা বাসে যাতায়াত, কলকারখানার যন্ত্রপাতি চালানো一 এসবের প্রতিটিই বিজ্ঞানের অবদান। দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের জন্য আমরা যে মোবাইল, ফাক্স, ই-মেইল ব্যবহার করি সেসবও বিজ্ঞানের দান। খবরের কাগজ, রেডিও, টেলিভিশন, সিনেমা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা যেসব তথ্য সংগ্রহ ও বিনোদনের স...

ট্রেনে ভ্রমণ

সুচনাঃ খুব ছোটবেলায় আমি একাধিকবার ট্রেন ভ্রমণ করেছি, কিন্তু সেসব আমার ভালো মনে নেই। যে ট্রেন ভ্রমণটি আমার স্মৃতিতে উজ্জ্বল তা হলো চট্টগ্রাম থেকে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা। ভ্রমণ কি?: অজানাকে জানার জন্য মানুষের রয়েছে দুনির্বার আকর্ষণ। নতুন নতুন জিনিস স্বচক্ষে দেখে সে সম্পর্কে জ্ঞানলাভের জন্য মানুষ পারি জমায় দেশ-বিদেশের নানা স্থানে। অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে এই স্থানান্তরের নামই ভ্রমণ। ভ্রমনের মাধ্যমে মানুষ বিশ্বকে সবচেয়ে ভালোভাবে অনুভব করার সুযোগ পায়। ভ্রমনের পথসমুহঃ স্থল, জল, আকাশ সমস্তই এখন মানুষের করায়ত্ত। এই সবগুলো পথেই রয়েছে ভ্রমণের অবারিত সুযোগ। স্থলপথে বাস, ট্রেন, রিকশা ইত্যাদির মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়। নদীপথে লঞ্চ, নৌকা আর আকাশ পথে বিমান হেলিকপ্টার মানুষের ভ্রমণের বাহন। তবে দীর্ঘ দুরুত্বে আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য ট্রেন ভ্রমণের জুড়ি নেই। ট্রেন ভ্রমণের শুরুঃ তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হয়ে গেছে। হাতে লম্বা ছুটি, শীতও তখন মাত্র শুরু হচ্ছে। এমনি সময়ে আমার ছোট খালা আমাদের মৌলভীবাজারে আমন্ত্রণ জানালেন। যাত্রার তারিখ ঠিক করে বাবা টিকেট কেটে আনলেন। যাত্রার দিন অটোরিকশা...

নবীর শিক্ষা, করো না ভিক্ষা।

একবার এক ব্যক্তি রাসুল (সাঃ) এর কাছে এসে ভিক্ষা চাইল। রাসুল (সাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার বাড়িতে কি কিছুই নেই? সে বললো একটা কম্বল আছে যার একাংশ পরিধান করি এবং একাংশ বিছিয়ে শুই। আর একটা পেয়ালা যা দিয়ে পানি পান করি। রাসুল (সাঃ) বললেন; যাও, ঐ দুটি জিনিস আমার কাছে নিয়ে এসো। লোকটি তৎক্ষণাত গিয়ে জিনিস দুটি নিয়ে এলো। রাসুল (সাঃ) জিনিস দুটি তার কাছ থেকে নিয়ে নিলেন এবং সমবেত সাহাবীকে বললেন, এই জিনিস দুটি তোমরা কেউ কিনবে নাকি? একজন সাহাবী বললেন, আমি এক দিরহামে নিতে পারি। অপর একজন বললেন, আমি দুই দিরহামে নিতে পারি। রাসুল (সাঃ) দ্বিতীয় ব্যক্তিকে পেয়ালা ও কম্বলটি দিলেন এবং তার কাছ থেকে দুই দিরহাম নিয়ে ঐ লোকটিকে দিলেন। তাকে বললেন, এক দিরহাম দিয়ে খাবার কিনে তোমার পরিবারকে দাও। আর এক দিরহাম দিয়ে একখানা কুঠার কিনে আমার কাছে নিয়ে এসো। লোকটি কুঠার কিনে নিয়ে এলে রাসুল (সাঃ) তাতে আছাড়ি লাগিয়ে দিয়ে বললেন, ''যাও এ দিয়ে কাঠ কাটবে। ১৫ দিনের মধ্যে তোমাকে যেন আমি না দেখি।'' সে নির্দেশ মোতাবেক কাজ করলো। একদিন এসে জানালো যে, দশ দিরহাম লাভ পেয়েছে। এর কিছু দিয়ে সে খাবার এবং কিছু দিয়ে কাপড় কিনল। রাসু...

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ব্যয়বহুল নগরী

স্থান শহর দেশ প্রথম সিঙ্গাপুর সিটি সিঙ্গাপুর দ্বিতীয় প্যারিস ফ্রান্স তৃতীয় অসলো নরওয়ে চতুর্থ জুরিখ সুইজারল্যান্ড পঞ্চম সিডনি অস্ট্রেলিয়া ষষ্ঠ কারাকাস ভেনিজুয়েলা সপ্তম জেনেভা সুইজারল্যান্ড অষ্টম মেলবোর্ন অস্ট্রেলিয়া নবম টোকিও জাপান দশম কোপেনহেগেন ডেনমার্ক [সুত্রঃ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট]

Write a dialogue between you and your friend about the importance of taking physical exercise.

Suppose, you are Saim/Sabiha. Your friend Fabiha/Fardin wants to know about the importance of taking ''physical exercise''. Now, write a dialogue between you and your friend about it.   [ Dinajpur Board-2019; Barishal Board-2018, 2016; Sylhet Board-2017; Rajshahi Board- 2015 ] Ans: Sabiha: Hi, Fardin. How're you? Fardin: Not so well, friend. Sabiha: Why? What happened? Fardin: I frequently fall sick. I often feel physically weak. Sabiha: Don't you take good food? Fardin: I hardly have an appetite for food. Sabiha: Do you exercise regularly? Fardin: No. Sabiha: I think that's the reason for your problem. Fardin: How? Is physical exercise so necessary for us? Sabiha: Of course! Exercise is the systematic movement of limbs of our body. It's essential to keep our body fit. Fardin: That means - without taking exercise I can't keep fit, right? Sabiha: Exactly! Regular exercise keeps our blood circulation normal. It keeps us away from diseases. It makes us ...

শ্রমের মূল্য

মানুষের সমস্ত সম্পদ এবং মানবসভ্যতার ভিত্তি রচনাকারী শক্তির নাম শ্রম। শ্রমের কল্যাণেই মানুষ নিজেকে জীবজগতের অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে আলাদা করেছে। মানবজীবনে সাফল্যের জন্য শ্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। শ্রমের মাধ্যমে সভ্যতা বিনির্মাণের পাশাপাশি মানুষ নিজের ভাগ্যকেও গড়ে নেয়। প্রতিটি মানুষের মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। পরিশ্রমের মাধ্যমেই কেবল সেই সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে রুপ লাভ করতে পারে। অন্যদিকে, পরিশ্রম না করলে সেগুলো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। শ্রমজীবী মানুষ তাদের কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়। সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে যত্নবান হয়। শ্রমের মূল্য বোঝে বলে তারা সকল শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা নিজের জীবন ও চারপাশের পরিবেশকে সাজিয়ে তোলে। ফলে শ্রমশীল মানুষের জীবন হয় সার্থক। অপর পক্ষে শ্রমবিমুখ মানুষেরা আলস্যে সময় নষ্ট করে।  নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অপরের মুখাপেক্ষী হয়।  তাই সাফল্য তাদের ভাগ্যে ধরা দেয় না। সাধারণ মানুষের কাছেও তাদের কোনো মুল্য থাকে না। শ্রম মানুষকে সমৃদ্ধির পথে চালিত করার পাশাপাশি দেয় সৃজনের আনন্দ। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ...